কিশোর মুসা রবিনের অভিযান
কিশোর মুসা রবিনের অভিযান
বত্রিশ.
দরজা দিয়ে তার বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করল রবিন। তারপর বলল, ‘কিভাবে হাড়-মাংস চিবালেন দেখলে?’
আলতো করে মাথা ঝাঁকাল মুসা। ‘আরেকটা জিনিস খেয়াল করেছ? কী হারে তার চুল-দাড়ি বাড়ে?’
খাওয়া শেষ করে বাইরে বেরোল ওরা। ক্যাম্প-কর্মীরা যখন আগুন জ্বালানোর পাঠ দিচ্ছে ওদের, চারপাশে তাকিয়ে মিস্টার উলফকে খুঁজল মুসার চোখ। কোথাও দেখা গেল না তাকে।
‘গেলেন কোথায়?’ মুসার কানের কাছে ফিসফিস করে বলল রবিন।
‘বনের মধ্যে গিয়ে ঢুকেছেন হয়তো। এত খাওয়ার পরও কী রকম খিদে খিদে করছিলেন খেয়াল করেছ? পেট ভরেনি, তাই শিকার করে কাঁচা মাংস খাবেন এখন।’
‘তার ঘরে ঢোকার আর সাহস হচ্ছে না আমার,’ মুসা বলল। ‘মারা পড়ব!’
মাথা নেড়ে রবিন বলল, ‘না ঢুকলেও মরব। বরং তাকে ঠেকানোর চেষ্টা করা দরকার।’
‘হ্যাঁ,’ কিশোর বলল। ‘ঘরে ঢুকে তার জিনিসপত্র না দেখলে সূত্র পাবো না। আর সূত্র ছাড়া রহস্যটার সমাধান করতে পারব না। রাত হোক। রাত বাড়লে আমরা গিয়ে তার ঘরে ঢুকব।’
সেদিন রাতে সবাই যখন কম্বলের নিচে নাক ডাকাচ্ছে, চুপি চুপি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলো চারটি ছেলেমেয়ে। অগ্নিকুণ্ডের কাছে প্রথম পৌঁছল ফারিহা ও মুসা। কিশোর-রবিনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। আগুন নিভে গেছে। পড়ে আছে পোড়া ছাই। ঠাণ্ডায় গায়ে কাঁটা দিলো ওদের। খানিক পরই এসে হাজির হলো কিশোর-রবিন। (চলবে)
